Skip to main content

ডিটেকটিভ এন্ড মিস লিলি | তৃতীয় পর্ব | The Detective and Miss Lily | Episode 3


   মোঃ জাহিদুল ইসলাম রিতন

---তৃতীয় পর্ব---

    “জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আপনার স্বামী প্যারিসের সেই ‘কিং কোবরা’ ক্লাবের মিটিং এ গিয়েছিলেন ?”
“না, উনি মাসের পর মাস অপেক্ষা করে কাটালেন । তারপর এই কিছুদিন আগে উনি একটা অদ্ভুত চিঠিপান ।”
“আপনার স্বামী এখন কোথায়, মিস মেরিলিন ?”
“মারা গেছেন !! ঠিক যেদিন উনি মারা যান, সেইদিনই ওর নামে এই চিঠিখানা এসে পৌছায় ।” হাত-ব্যাগ খুলে একখানা খাম বাড়িয়ে দিল মেরিলিন ।
খাম খুলে বের করল রায়হান ।
“কি করে মারা গেলেন উনি ?”
উনি বলতেন, কেউ একজন ওকে খুন করার চেষ্টা করছে ।
“ওর ধারণা প্যারিসের সেই গুপ্ত ক্লাবটারই কোন ‘কিং কোবরা’ ওকে হত্যা করার জন্য খুঁজে বেরাচ্ছে ! সেদিন ভোরে উঠে উনি হাইওয়েতে বেড়াতে গিয়ে একটা ‘হিট অ্যান্ড রান’ ড্রাইভারের গাড়ীর চাকার নীচে পড়ে মারা যান ।”
“আর আপনি ভাবলেন এটা নিশ্চয়ই একটা মার্ডার !”
“নিশ্চয়”
“হয়তো এই চিঠিটা এ ব্যাপারে কিছু জানতে পারে !”
চিঠিটায় লেখা আছেঃ
“কর্ণেল মেইনস্টেইন, আশা করি আপনি আপনার প্রতিশ্রুতি ভুলবেন না । আগামী ১৯শে মে রাত দশটার সময় প্যারি হোটেলের আট
তলায় ‘কিং কোবরা’-য় এসে অন্য তিনজন লোকের সঙ্গে দেখা করুন ।
‘ওদের সঙ্গে আলোচনার পরেই আপনি বুঝতে পারবেন কী করতে হবে আপনাকে......। এক বিশাল গুপ্তধন-ভান্ডার আজ গোপন ও অদৃশ্য হয়ে পড়ে আছে লোকচক্ষুর আড়ালে... যে হবে সাহসী এবং ডর-ভয়হীন, সেই ল্যাব করবে ওর অধিকার......”
“তাহলে দেখা যাচ্ছে আপনার স্বামী হটাৎ মারা পরাতে প্যারিসের ওই ক্লাবে যেতে পারে নি ?”
সেই দিন সকালে আমরা ব্যাটমিন্টন খেলছিলাম । আধ ঘন্টা খেলার পর উনি বললেন  যে আমার দম বন্ধ হহে আসছে । তাই সে খোলামেলা হাইওয়েতে হাটাহাটি করতে ভালো লাগবে ।
আমি খুব তাড়াতাড়ি ফিরবো, মেরিলিন ।”-উনি যেতে যেতে বললেন ।
বেশী দূর যেওনা ফ্রিজ—আমি বললাম । হাইওয়েতে গিয়ে উঠার পর আধ ঘন্টার মতন কাটল । আর সেই সময়ই ঘটনাটা ঘটে । মস্তবড় একটা ট্রাক এসে চাপা দেয় তাকে ।
সঙ্গে সঙ্গে উনি মারা যান । আমার স্বামীর মৃত্যুদেহে কোন আইডেন্টিফিকেশন ছিল না ।
দুপুরের দিকে পুলিশ এলো আমার কাছে । পুলিশের গাড়ী করে গেলাম মর্গে ।
মর্গে পৌছতেই ওরা মৃত্যুদেহটাকে দেখাল আমাকে । “বলল, দেখুন- একে আপনি চিনেন কিনা
মৃত্যুদেহের দিকে তাকিয়ে চমকে উঠলাম । ঠিক ফ্রিজের মনতন দেখতে লোকটা-কিন্তু এ ফ্রিজ নয় ! “না, লেফটেনান্ট, জীবনে আমি একে কখনও দেখেনি,” পুলিশ অফিসার কে বললাম ।
......রায়হান অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল মেরিলিনের দিকে ।
বলল, “তারপর ? তারপর কি ঘটলো ?”
“তারপর আমার মাথায় একটা মতলব আসে । আম চাই, আপনি আমার স্বামীর ভুমিকায় অভিনয় করুন । তারপর চলুন, আমরা দুজনে মিলে যাই প্যারিসের সেই ক্লাবে । এই চিরুকুট নিয়ে আপনি সেই ‘কিং কোবরা’ ক্লাবে গিয়ে অন্য তিনজনের কাছে নিজের পরিচয় দিবেন ফ্রিজ মেইনস্টেইন বলে ঠিক এই জন্যই আমি আপনাকে টাকা দিয়ে এখানে এনেছি ।
   এতোক্ষণে সব রহস্য পরিস্কার হলো রায়হানের কাছে । মেরিলিনের স্বচ্ছ সুশ্রী মুখটায় উদ্বেগ ।
“সেই ক্লাবে এই চারজনের সাক্ষাৎ এর আগে কখনও হয়নি । কেউ কাউকে চেনেও না । পরিচয়-পত্রের জন্য এই চিরকুটই একমাত্র সম্বল ।”
“আপনার স্বামীর কোন ফটো আছে ?”
“হ্যা, এই যে দেখুন ।”
বুক থেকে মাথা পর্যন্ত একটা হাফ সাইজের ফটো । ঋজু বলিষ্ট চেহারার এক পৌঢ় মানুষের ফটো । এক মাথা পাকা চুল, সবল মুখ, খাড়া নাক, চোখের চাউনি তীক্ষ্ণ কিন্তু উত্তাহীন ।
রায়হান হেসে বলল, “এই আপনার স্বামীর ছবি ? কিন্তু আমি যে এর চেয়ে অনেক কম বয়সী!”
“তার জন্য কোন চিন্তা নেই । সামান্য কিছুটা কলপ এবং মেকাপ করে নিলেই চলবে । আপনি নিশ্চয় বলবেন না যে আপনি জার্মান ভাষায় কথা বলতে অয়ারেন না ! আমি কিন্তু খবর নিয়েছি যে আপনি জার্মান কিংবা ফ্রেঞ্চ এই দুই ভাষাতে অনর্গল কথা বলতে পারেন । (রায়হান শুধু জার্মান কিংবা ফ্রেঞ্চ ভাষা নয় সে আরবী, স্পেনিশ ফার্সী ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারে এটা তার হেভিটের মধ্যে একটা )
আপনার মুখ চোখের আদল অনেকটা আমার স্বামীর মতনই । সমস্যাটা কোথায় বলুন ?”
   উঠে দাঁড়াল রায়হান দরজার দিকে যেতে যেতে বলল, “বেশ রাত হয়েছে –এবার যেতে হবে আমাকে ! ঠিক আছে মেরিলিন, এটা হল একটা চুক্তির মতন । রাতে ঘুমানোর আগে ভেবে দেখবো, তারপর কাল তোমার সঙ্গে দেখা করব ।”
   মেরিলিনকে এই প্রথম সে নাম ধরে ডেকেছে এবং “তুমি” সম্মোধন করেছে ।
“কিন্তু ‘কিং কোবরা’ ওই মিটিং তোমায় যেতেই হবে, রায়হান !
কেননা, জার্মানের সঞ্চিত গুপ্তধনের সেই অংশ-যা এখন পানির নীচে আছে, যেমন করেই হোক তা আমার হবে ।” .........গাড়ীতে চালাতে চালাতে রায়হান মনে মনে ঠিক করলো, ভাগ্যে যাই ঘটুক না কেন, মেরিলিনকে নিয়ে সে প্যারিস যাবেই ।
   জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরঃ ঢাকা ।
   ঢাকা থেকে সরাসরি কোন বিমান ফ্রান্সে যায় না তাই প্রথমে দুবাই তারপর প্যারিস ।
এই ভাবে বিমানের টিকিট সংগ্রহ করে, রায়হান ।
   ৭০৭ বোয়িং বিমান উড়ে চলছে মেঘের রাজ্যদিয়ে । পাশাপাশি দুজন বসে আছে রায়হান আর লিলি ।
“আচ্ছা মেরিলিন, জেনারেল জিমারম্যান কি আগে থেকেই তোমার স্বামীকে চিনতেন ?”
“হ্যা । কিন্তু জেনারেল এখনও কারাদন্ড ভোগ করছেন । যে কোন মূহুর্তে তার মৃত্যু হতে পারে ।” এখন তার বয়স আশির কাছাকাছি ।
আবু ধাবিতে নেমে বিশ্রাম করে প্রায় চার ঘন্টা পর ফ্রান্সের বিমানে উঠলো তারা ।
আবু ধাবি থেকে কয়েক ঘন্টা জার্নি শেষে তারা ওরলিতে নেমে যখন বাইরে এসে ট্যাক্সি ধরল, তখন সন্ধ্যা নেমে এসেছে ।
হোটেল নীস-এ এসে পৌঁছতে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে গেল । চারতলার দুটি কামরা বুক করেছিল ওরা । লিফট দিয়ে চারতল্য পৌঁছে কামরায় ঢুকে খুশি হল রায়হান ।
হোটেলে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে এলেও শোবার সময় দুটি কামরাই দরকার হবে । মেরিলিন তার কামরায় গিয়ে পোষাক পরিচ্ছদ পাল্টাতে ব্যাস্ত । হঠাৎ ...............
“রায়হান ! বাঁচাও, বাঁচাও !”
-পাশের কামরা থেকে মেরিলিনের চাপা আওয়াজ ভেসে এল । তোয়ালেটা ফেলে রেখে ছুটল রায়হান । ঘরটা আধো-অন্ধকার । ছায়ার মতন একটা লম্বা শরীর ঝুঁকে পড়েছে মেরিলিনের উপর । বিস্ফরিত চোখে মেরিলিন তাকিয়ে আছে সিলিং-এর দিকে ।
রায়হান ঝাঁপিয়ে পড়ল ছায়াটার উপরে । প্রচন্ড এক ঘুষি মারলো লম্বা শরীরটার চোয়াল লক্ষ্য করে ।
লম্বা ছায়াটা বিদ্যুৎ বেগে ছায়ার মতনই অদৃশ্য হয়ে গেল করিডরের প্রায়ান্ধাকার প্যাসেজ ধরে ।
মেরেলিন তখন থরথর করে কাঁপছে । গলায় হাত বোলাচ্ছে ঘন ঘন ।
রায়হান বা হাত বাড়িয়ে সুইচ টিপে আলো জ্বালালো ।
“কিন্তু লোকটা কে হতে পারে ?” জানি না কিন্তু দ্যাখো, আমার গলার চামড়ায় কিসের একটা বিশ্রি ছাপ রেখে গেছে ওই লোকটা !”
“দেখছি, দাঁড়াও !” রায়হান দেখবার চেষ্টা করল । গোলাকৃতি ছোট একটা ছাপরবার-স্টেম্পের মতন । আর সেই ছাপটার ফুটে উঠেছে হিংস্র একটা সাপের ফণা ।
“কিং কোবরা !!!”
তার মানে কি এই দাঁড়াতে পারে যে ‘কিং কোবরা’ ক্লাব থেকেই কেউ এসেছিল মেরিলিনকে ভয় পাইয়ে দেবার জন্য ?
হোটেলের লাউঞ্জে এসে কিছুক্ষন খোঁজখবর নেবার পরই রায়হান আটতলার কোন কামরায় ক্লাবটার অবস্থান, তা জানতে পারল ।
লিফটে আটতলায় পৌঁছে কামরা খুঁজে বিশেষ অসুবিধা হল না । ঘরের ভেতরে একটা গোল টেবিলের চার ধারে বসে আছে তিনটি লম্বা চেহারার মানুষ ।
   প্রত্যেকেরই চোখ-মুখে বয়সের ছাপ, গম্ভীর্যের সঙ্গে মিশে আছে অভিজ্ঞতার ছাপ, শুকনো তীক্ষ্ণ দৃষ্টি, বলিষ্ঠ চেহারা । প্রত্যেকেই জার্মান । রায়হান ঢুকতেই দেখে তারা উঠে দাঁড়ালো আসন ছেড়ে ।
“আপনি কি কর্ণেল মেইনস্টেইন ?”
-খাটি জার্মান ভাষায় প্রশ্ন করে একজন । তার মাথায় মস্ত বড় টাক ! পেছনের দিকে চুল সব সাদা । ভ্রুজোড়া বাঁকা ।
“হ্যা !”
“আমরা অপেক্ষা করছিলাম আপনার জন্য । আমার নাম কার্ল মাক, ইনি হলেন অটো বগনার আর উনি পল স্টোফার !”
রায়হান বলল-“আমরা সবাই জানি, কেন আমরা এখানে জড়ো হয়েছি । এবার আলোচিনা আরম্ভ করা যেতে পারে । আমার কাছে রয়েছে একটা ছোট্ট কাগজ......কোন একটা ধাঁধার অংশ হয়তো সেটা । গুপ্তধনের সম্ভাব্য অবস্থিত যে ধাঁধায় জানানো হয়েছে । আমার ধারণা, আপনাদের সঙ্গেও হয়তো তেমনি টুকরো কাগজ রয়েছে ?”
অটো বগনার বলল, “কর্ণেল মেইনস্টেইন, আপনি যে বিষয়টা নিয়ে ইঙ্গিত করছেন ব্যপারটা আমরা সবাই জানি ।”
“অবশ্যই” সমস্বরে বলে সবাই । এরপর প্রত্যেকেই পকেট থেকে একটা একতা করে টুকরো কাগজ বের করে রাখল । জেনেরেল জিমারম্যান একটা করে এই টুকরো কাগজগুলো এদের হাতে দিয়েছিলেন ।
“টুকরো কাগজগুলো একসঙ্গে জুড়ে দিলে কোন একটা আস্ত শব্দ হতো দাঁড়াতে পারে !”
“অসম্ভব নয়”
রায়হান বলল, “আপনারা আদেশ করলেই দেখতে পারি । জেনারেল জিমারম্যান কোন হ্রদটায় তার গুপ্তধনের সিন্দুকটা ডুবিয়ে রেখেছেন তার খোঁজ হয়তো এখনি জানা যাবে ।”
টেবিলের উপর ঝুঁকে পড়ে রায়হান ব্যস্ত হয়ে পড়ল কাগজের টুকরোগুলো একসংগে জোড়া লাগাতে ।
“এই টুকরোগুলো লম্বালম্বি ভাবে জুড়ে দেওয়ার পর হ্রদটার যে নাম পাওয়া গেল, জেনারেলের নামটা তার সঙ্গেই রয়েছে......এই যে দেখুনঃ
     ZI              MM           ER               MAN
                    ZI              MM           ER               MAN
                      mu               nc                he                   n            

      রুদ্ধনিশ্বাসে কাগজের দিকে তাকিয়ে রইল সবাই ।
স্টোফার বলল, “কিন্তু এটা থেকে শুধু পাওয়া গেল মুনচেন বা মিউনিখেরই নামটা ।”
বগনার বলল, “মুনচেন শহরের শেষে যে হ্রদটা আছে তার নাম লেক মুনচেন ।”
কার্ল বলল, “কাল আবার এই সময়ে আমরা রাতের অন্ধকারেই আমার মার্সিডিজে করে মিউনিখের দিকে রওনা হব ।”
“প্রস্তাবটা মন্দ নয়” । বগনার বলল । রায়হান এক পলক তাকাল অটো বাগনারের দিকে ।লম্বা, মাথায় টাক, খাড়া নাক । যুদ্ধের সময়ে জার্মান গেস্টাপো বাহিনীর ক্যাপ্টেন ছিল । রায়হানের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় যেন তাকে সাবধান করে দিল । এই লোকটা প্রয়োজন হলে গুপ্তধনের লোভে সঙ্গীদের খুন করতে পারে...............

   মেরলিন অপেক্ষা করে বসে ছিল । দরজায় তিনবার টোকা পড়তেই দরজা খুলে রায়হানকে দেখে তার মুখে হাসি জেগে উঠল ।
সব কিছু সবিস্তারে বলল রায়হান তার কাছে। সেই সাংকেতিক চিরকুটের রহস্যভেদের বেপারটাও । তারপর বলল, “শোন মেরিলিন” আমাদে এই চারজনের মধ্যেই কেউ একজন ‘কিং কোবরা’ ।
মেরিলিন চমকে উঠল ।
“আমার বিশ্বাস, অটো বাগনারই রাতে ঘরে ঢুকে তোমায় আক্রমণ করেছিল । এবং “কিং কোবরা” ছাপটাও লাগিয়ে গিয়েছিল অটোই ।”
“গুপ্তধনের শেয়ার থেকে একজঙ্কে যদি সরিয়ে দেয়া যায়?” –মেরিলিন বলল ।
“ভাবনার কিছুই নেই মেরিলিন । বুকে সাহস বেঁধে অপেক্ষা করো । যদি কিছু ঘটে প্রচন্ড চীৎকার করে উঠবে । আমি তো কেছেই আছি !” –এই বলে মেরিলিনকে সান্ত্বনা দিয়ে রায়হান চলে এল তার কামরায় ।
রায়হানের আর একটা কথা মনে পড়ল । “কিং কোবরা” ক্লাবে কথায় কথায় অটো বগনার তাকে বলেছিল যে এখাঙ্কার কাজ শেষ হলে রাত সাড়ে দশটায় তার একটা ডিনারের নিমন্ত্রণ রয়েছে আইফেল টাওয়ারের চুড়োর রেস্তোঁরাতে । শোবার আগে রায়হান একবার এসে দাঁড়াল কামরার ফ্রেঞ্চ উইন্ডো পার হয়ে ছোট্ট ব্যালকনিটাতে । বাইরে জোৎসারাত । তেমন কুয়াশাও নেই আকাশে । অনেক নীচে রাস্তাঘাট নিস্তব্ধ এবং নির্জন হয়ে এসেছে । এই ব্যালকনি থেকে আইফেল টাওয়ার পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে । খুব কাছে বলেই হয়তো । এমন কি টাওয়ারের চূড়োর রেস্তোঁরায় আলো এবং লোকজনও দেখা যাচ্ছে ।  রায়হান সেদিকে তাকিয়ে সিগারেট টেনে যেতে লাগলো । ‘কিং কোবরা’ কে হতে পারে ?
   উঁচু উঁচু বাড়ীগুলোর ছাদের উপর দিয়ে  আইফেল টাওয়ারের চূড়োর দৃশ্যটা বেশ জাঁকজমকের সঙ্গে ফুটে উঠেছে তার চোখে ।

   আকস্মাৎ তীক্ষ্ণ, তীব্র, ক্ষীণ, আর্ত চীৎকার ভেসে এল ! আইফেল টাওয়ারের চূড়োর রেলিং টপকে একটা লোক শূন্যে পড়ে যাচ্ছে –ওই তীক্ষ্ণ, তীব্র, ক্ষীণ, অমানুষিক, আর্ত চীৎকারটা ভেসে এসেসে তারই গলা থেকে । রায়হান হতবাক, সিগারেটটা খসে পড়ে গেল হাত থেকে তার । 

Comments

Post a Comment